তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?
সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের রয়েছে বিবেক ও মনুষ্যত্ববোধ। যার দ্বারা মানুষ নিজের ওপর অধমের সকল কুপ্রভাব বেড়ে ফেলে দিয়ে নিজেকে উত্তমে পরিণত করতে পারে। কারণ মনুষ্য জাতির আদর্শই হচ্ছে উত্তম পন্থার অনুকরণ-অনুসরণ করা। পৃথিবীতে মানবজীবন প্রতিনিয়ত ভালো ও মন্দের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়। প্রতিটি মানুষের চরিত্র, বৈশিষ্ট্য ও মানসিকতার মধ্যে রয়েছে ভিন্নতা। ভালো মানুষ অপরের মন্দ কর্মকে কখনোই আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেন না। অন্যায় পথের কোনো মোহ তাঁদের আকৃষ্ট করতে পারে না। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী তাঁরা অন্যের কল্যাণ সাধনের চেষ্টা করেন। অনেক সময় উত্তমের ব্যবহার ও আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে অধমও উত্তম হয়ে ওঠেন। উত্তম ব্যক্তি বিবেক ও মনুষ্যত্ব দ্বারা দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেন। অন্যদিকে অধম ব্যক্তি সমাজে নিন্দিত ও নিগৃহীত হয়। প্রকৃত উত্তম ব্যক্তিকে অন্যায়, অসত্য ও অসুন্দর কখনোই আকৃষ্ট করতে পারে না। উত্তম ব্যক্তি আত্মশক্তিতে বলীয়ান থাকে। আর অধম ব্যক্তি মানসিকভাবে দুর্বল থাকে। অধম ব্যক্তি উত্তম ব্যক্তির ক্ষতি করলেও প্রতিদানে উত্তম কখনো অধমের ক্ষতি করেন না। উত্তম ব্যক্তির চরিত্রগুণ, আদর্শ ও সুন্দর ব্যবহার সকলেরই আদর্শ। মানুষ হিসেবে আমাদের সর্বদা উত্তমকে গ্রহণ এবং অধমকে বর্জন করা উচিত । জীবনের ব্রত হওয়া উচিত উত্তম সাধনা। উত্তম ব্যক্তি তাঁর মহৎ গুণাবলি দিয়ে অধমকেও জয় মানুষের প্রতিটি করতে পারেন। পারেন মনুষ্যত্ব দ্বারা সকল অন্যায়কে পরাভূত করতে।